এইচএসসি (বিএমটি) ভোকেশনাল - ডিজিটাল টেকনোলজি ইন বিজনেস-১ - কর্মক্ষেত্রের স্বাস্থ্যবিধি ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার প্রয়োজনীয়তা ও ক্ষেত্রসমূহ | NCTB BOOK

স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য যেসব নিয়ম-কানুন অনুসরণ করা হয় সেগুলোকেই স্বাস্থ্যবিধি হিসেবে অভিহিত করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-র মতে, স্বাস্থ্যবিধি বলা হয় সেসব নিয়মাবলি ও অনুশীলনকে যেগুলো সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করে। দৈনন্দিন জীবন ব্যবস্থা ও ওষুধ গ্রহণের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে রোগ-জীবাণুর সংক্রমণ অনেকটাই প্রতিরোধ করা সম্ভব। স্বাস্থ্যবিধি এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এই দুই বিষয়ের একটিকে অপরটির স্থলে অনেক সময় ব্যবহার করা হয় বলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে। তাই বলে রাখা ভালো, স্বাস্থ্যবিধি হলো রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুর বিস্তার রোধ করার অনুশীলন। আর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা হলো সংক্রামক জীবাণুর পাশাপাশি ময়লা আবর্জনা ইত্যাদি দূর করা। এছাড়াও দৈহিক স্বাস্থ্যবিধি, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি, ঘুমের স্বাস্থ্যবিধি, মানসিক স্বাস্থ্যবিধি, দাঁতের স্বাস্থ্যবিধি এবং বৃত্তিগত স্বাস্থ্যবিধির জাতীয় বিষয়গুলো মূলত গণস্বাস্থ্যের সাথে সম্পৃক্ত। স্বাস্থ্যবিধি বিজ্ঞানের একটি শাখা, যা সুস্বাস্থ্য রক্ষা ও উন্নতি সাধনের লক্ষ্যে পরিচালিত হয়।

জেনে রাখো :

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organization) জাতিসংঘের একটি সহযোগী সংস্থা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্য বিষয়ে সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৯৪৮ সালের ৭ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত হয়। এর সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থিত । সংস্থার প্রধান হিসেবে রয়েছেন একজন মহাপরিচালক, যিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলন থেকে মনোনীত হয়ে থাকেন। প্রাথমিকভাবে ৯০টি রাষ্ট্রের সমন্বয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তার যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা ১৯৪টি এবং জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্রই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদস্য।

Content added By
Promotion